চালের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ‘ভাতের পাতে স্বস্তি ফেরাও’ —এই স্লোগানকে সামনে রেখে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে নগরের জামালখান প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সংগঠনের প্রতিনিধি অংশ নেন।

nagad
মানববন্ধনে যৌথভাবে অংশ নেয় বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি), কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম, প্রাণ ও আইএসডিই বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের (খানি) সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম মাসুদ বলেন, ‘মানুষ এখন আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। মাছ, মাংস, ডাল বা সবজি বাদ দিয়ে শুধু ভাত খেয়ে চলতে হচ্ছে। এতে পুষ্টিহীনতা বাড়ছে, শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, মানসিক চাপও বাড়ছে।’

KSRM
যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, মানবাধিকার সংগঠনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান, বিএনপি নেত্রী ফরিদা খানাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ওএমএস ও টিসিবির কার্যক্রম অনেকাংশেই নিষ্ক্রিয় থাকায় চালের বাজারে সৃষ্ট সংকট আরও প্রকট হয়েছে।
তারা বলেন, চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্যতালিকা থেকে একে একে হারিয়ে যাচ্ছে পুষ্টিকর উপাদান। সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কিছু পদক্ষেপ নিলেও চালের বাজারে কার্যকর মনিটরিংয়ের অভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে দাম বাড়াচ্ছে। প্রতিকেজিতে ৮-১০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের জন্য চাল এখন যেন বিলাসিপণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বক্তারা আরও জানান, চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি সার্বিক মূল্যস্ফীতিও উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতির ৪০ শতাংশই চালের মূল্যবৃদ্ধিজনিত।
তারা অভিযোগ করেন, মিল মালিকদের মজুতদারি, করপোরেট সিন্ডিকেট এবং বাজার মনিটরিংয়ের ঘাটতিই এই সংকটের মূল কারণ। এতে কৃষক ন্যায্য মূল্য না পেলেও, ভোক্তাদের অতিরিক্ত দামে চাল কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।